স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা দিলো ইমপ্রুভ শিক্ষা পরিবার

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা দিলো ইমপ্রুভ শিক্ষা পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহ বাড়াতে রক্তদাতাদের সম্মাননা দিয়েছে ইমপ্রুভ শিক্ষা পরিবার নামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলে আই.ই.এফ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরচালিত ইমপ্রুভ চাইল্ড কেয়ার স্কুলের বার্ষিক দোআ মাহফিল, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

জেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

আরো পড়ুন – ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে বহিস্কার

স্বেচ্ছাসেবী কাজের স্বীকৃতি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন রক্তদাতারা। সম্মাননা প্রাপ্ত অধিকাংশ রক্তদাতাই ২০ থেকে ২৮ বার পর্যন্ত স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন।

ইমপ্রুভ শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রেজাউল করিম জানান, দেশে প্রতি বছর নয় লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

এর মধ্যে বিভিন্নভাবে ছয় লাখ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা হয়। তিন লাখ ব্যাগ রক্তের ঘাটতি থাকে।

এই রক্তের বড় জোগান দিয়ে থাকেন স্বেচ্ছাসেবীরা রক্তদাতারা। তবে রক্ত নেয়ার পর অনেকেই রক্তদাতাদের খোঁজ রাখেন না।

রক্তদাতাদের সম্মান জানাতে ও সাধারণ মানুষের মাঝে রক্তদানে উৎসাহ বাড়াতে আমরা রক্তদাতাদের সম্মাননার আয়োজন করেছি।

পরিচালক বলেন, রক্ত দান মানবতার শ্রেষ্ঠ দান। একজন মানুষের এক ফোটা রক্ত মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।

আরো পড়ুন – বাসাইলে সড়কে আরসিসি ঢালাইয়ের একদিনেই ফাটল!

টাকা দিয়ে জীবন বাঁচানো যায় না। অথচ এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচানো যায়।

যে রক্ত দেয় তার কোন খরচ হয় না। তবে রক্ত গ্রহিতার লাভ তার পুরো জীবনটা বেঁচে যায়।

আমি এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে একজনকে বাঁচাতে পারবো, কিন্তু টাকা দিয়ে পারবো না।

উৎসাহ দিয়ে রক্তদাতা বাড়াতে পারলে অনেকের জীবন বেঁচে যাবে। আমার বিশ্বাস এই বার্তাটি মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করবে।

সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ২৩ বার রক্ত দেয়া এনায়েত করিম বিজয়, ২৮ বার রক্ত দেয়া আশিকুর রহমান বলেন, আমরা মানবিক মূল্যবোধ থেকে স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে রক্ত দিয়ে থাকি।

রক্তদাতাদের নিয়ে ইমপ্রুভ শিক্ষা পরিবারের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। সারাদেশে সরকারি বেসরকারিভাবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বেচ্ছায় রক্তদানে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়বে।