৩ জন আক্রান্ত; গ্রাম লকডাউন; ক্ষুধার্ত গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের ৩ জন করোনায় আক্রান্ত। ফলে গ্রামটি লকডাউন। তারপর থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পায়নি গ্রামবাসী। অভিযোগ তাদের। লকডাউনে থাকা ওই গ্রামবাসীরা খাবারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সড়কের উপজেলার জিগাতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা।

এরআগে ওই গ্রামের ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে প্রশাসন গ্রামটিকে লকডাউনের ঘোষণা দেয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত রোববার গ্রামের দুইজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় লকডাউনের ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। এরপর চারদিন অতিবাহিত হলেও কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা করা হয় তাদের।

জিগাতলা গ্রামের সোহেল, আলআমিন ও শাহআলম জানান, পুরো গ্রামটা লকডাউনের কারণে অবরুদ্ধ। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ঘরে যে খাবার ছিল তা শেষ হয়েছে। বাইরে গিয়ে বাজার আনতে না পারলে না খেয়ে মরতে হবে। সরকারি-বেসরকারিভাবে লকডাউনের পরে কোন খাবার বা ত্রাণ সহায়তা পায়নি। ঘরে শিশু সন্তান রয়েছে তাদের খাবার ফুরিয়ে গেছে।

গোবিন্দাসীর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, করোনায় আক্রান্তের পর জিগাতলা গ্রাম লকডাউনের আগে ১৩টি ত্রাণের প্যাকেট পেয়েছিলাম সেগুলো চা-স্টলে কাজ করা ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত জিগাতলা গ্রামের কোন মানুষ ত্রাণ সহায়তা পায়নি। তাদের ঘরে খাবার নাই তাই তারা সড়ক অবরোধ করেছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বলেন, জিগাতলা গ্রামের মানুষ বাইরে গিয়ে বাজার সদাই করতে পারছে না। মানুষের কাছে টাকা থাকলেও এই লকডাউনের কারণে তারা অসহায়। বাইরে বের না হতে পেরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন জানান, জিগাতলা গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ৬ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাদের বাজার প্রয়োজন তারা স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে টাকা দিবেন। স্বেচ্ছাসেবীরা বাজার করে বাড়িতে পৌঁছে দিবেন। এছাড়া ওই গ্রামের ২৫০ জন অসহায় দরিদ্রকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। সূত্র – বার্তা২৪.কম