ধারণ ক্ষমতার বেশি ভারী ট্রাক চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েকটি রাস্তা

আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি

আ’লীগ নেতার নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নদীর পাড় কেটে মাটি দেদারছে মাটি বিক্রি চলছে।

উপজেলার বড় বাসালিয়ায় পুংলি নদী হতে রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু বিক্রি করছে এই চক্রটি।

জানা যায়,টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ী গ্রামের উজ্জ্বল যৌথভাবে ওই অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

আরো পড়ুন – খান ও সিদ্দিকী পরিবারের ‘বন্ধন’, ত্যাগীদের প্রত্যাশা হইব্রিডের পতন

ওই বালুখেকো চক্র সারাদিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে তারা নদী তীরে একাধিক ভেকু বসিয়ে নদী হতে বালু তুলে অসংখ্য ট্রাক বালু বিক্রি করে প্রতি রাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এলেঙ্গা পৌরসভার বাগানবাড়ী হতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পৌলি ব্রীজ পর্যন্ত গত অর্থ বছরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এলেঙ্গা পৌরসভার নির্মিত নতুন রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই চক্রের বালুবাহী ভাড়ী ট্রাক চলাচলের কারণে।

এছাড়াও রাস্তার দুইপাশে মানুষের বসবাসের ঘরবাড়ি ধুলাবালিতে সয়লাব হচ্ছে, এতে শিশু নারী ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিল সুকুমার ঘোষ বলেন, নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকৃত জায়গা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড়বাসালিয়া মৌজায়।

তাই আমরা কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন ভূমিকা রাখতে আইনী জটিলতা রয়েছে।

তাছাড়াও যারা বালু ব্যবসা করছেন তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা বালু উত্তোলনের বিরোধিতা করতে সাহস পায়না।

বালু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য –

বালু ব্যবসায়ী এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ী গ্রামের উজ্বল বলেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এলাকার জমির মালিকদের সাথে সমন্বয়ে করে বিভিন্ন জায়গায় বালু দিচ্ছি।

আরো পড়ুন – সাবেক কৃষিমন্ত্রীর আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে কৃষি জমি দখল ও মাটি ভরাটের অভিযোগ

তাছাড়া এর সাথে জড়িত টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা।

তোফা সাহেব স্থানীয় হওয়ায় আমাকে তাদের ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন।

আমি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রশাসন ও কালিহাতী থানা পুলিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই তোফার বালু ব্যবসা পরিচালনা করছি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ইউএনও যা বলেন –

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি লোক পাঠিয়েছিলাম।

তারপরও নদী হতে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।