কালিহাতীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা; আহত ৬; থানায় মামলা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজাদ হোসেন হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াটা বাজারে এ হামলা হয়।

বুধবার রাতে কালিহাতী থানায় তিনি ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাসপাতালে চিকিসাধীন আছেন।

হামলার শিকার আজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার গোপালদিঘী কে. পি. ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্ণিং বডির নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খানের পক্ষে আমি ভোট চাইতে যাই। ভোট চাওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হায়দার আলীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে ধরে ব্যাপক মারধর করে। এসময় আমার সাথে থাকা আমীর আজম খান বাবলু, আলহাজ¦ আলীসহ আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। আমি ঘটনার ইন্ধনদাতা ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

খবর পেয়ে কালিহাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের নুরুল হকের দোকান থেকে চেয়ারম্যান আজাদ হোসেনকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়।

এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন একজন সহজ-সরল মানুষ। একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার উপর এ হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক।

হায়দার আলী মাস্টার মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় যুবলীগের কিছু লোক চেয়ারম্যানকে ধাওয়া ও কটুক্তি করেছে। আমি ঘটনার সাথে জড়িত নই।

কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একটি টিম ঐ এলাকায় কাজ করছে; আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।