কালিহাতীতে ফসল বাঁচাতে নদীতে স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধ

কালিহাতীতে ফসল বাঁচাতে নদীতে স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধ

কালিহাতী প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি।

এতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ও সল্লা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামে রোপনকৃত আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

ফসল রক্ষায় উপজেলার হাতিয়ায় এলংজানী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ দু’টি স্থানে স্বেচ্ছায়শ্রমে কয়েকশত কৃষক বাঁধ নির্মাণ করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৭-৮ গ্রামের শতাধিক কৃষক নিজেদের ফসল বাঁচাতে বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে হাতিয়া এলাকায় নদীতীরে বাঁধ দিচ্ছেন।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে বাংলাদেশ আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

গত ৬ দিন যাবত একাধারে দুটি স্থানে প্রায় আড়াই শত ফুট জায়গা জুড়ে এ বাঁধ হচ্ছে।

কৃষক আব্দুল আজিজ, লুৎফর রমান, ইউসুফ ও আরজু শেখসহ অনেকে বলেন, সল্লা, দেউপুর, হাতিয়া, ভাওয়াল, বিল ছাইয়া, আনালিয়াবাড়ী, নরদহিসহ প্রায় ২০টি এলাকায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হাতিয়া এলাকায় এলংজানী নদীর তীরে ভাঙন হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

এভাবে ৩-৪ দিন পানি বাড়লে ২০ গ্রামে রোপনকৃত ধান ডুবে আমাদের স্বপ্ন ভেসে যাবে।

সরকারি সহায়তায় কাজ হলে আমাদের এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না। আমরা স্থায়ী টেকসই বাঁধ চাই।

দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূইয়া বলেন, কৃষকরা ফসল বাঁচাতে হাতিয়া এলাকায় বাঁধ দিচ্ছেন।

আমি জানার পর সেখানে বস্তা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা করবো।

আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।

তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি সহযোগিতা করার ব্যবস্থা নেই।

তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা করার কথা বলেছি। পরবর্তীতে বাঁধের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার