দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

টাঙ্গাইলে বিএনপির তিন খন্দকার

টাঙ্গাইলে বিএনপির তিন খন্দকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে বিএনপির তিন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এদের দুইজন স্বতন্ত্র এবং একজন বিএনএম এর মনোনিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এরা হলেন – খন্দকার আহসান হাবীব, খন্দকার, আনোয়ারুল হক ও খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।

প্রার্থী হওয়াদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া দুইজন হচ্ছেন, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য বহিস্কৃত সদস্য খন্দকার আহসান হাবীব এবং টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক।

আরো পড়ুন –

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনএম থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব গত ১৫ নভেম্বর ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সেখানে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষনা দেন। ওইদিন রাতেই তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।

আহসান হাবীব ১৯ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তোলেন।

গত বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মধুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক।

তিনি ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন।

তারপর থেকেই মধুপুরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন।

টাঙ্গাইল-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ।

তিনি নব গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন।

প্রার্থীদের কথা –

খন্দকার আহসান হাবীব বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়া উচিত। অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হবে।’

খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, দলে আমি অবহেলিত। কোন সভায় আমাকে ডাকা হয় না। আমার মনে হয় আমাকে দলের আর প্রয়োজন নেই।

তাই দল নির্বাচনে না এলেও আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি জানান, উপজেলা বিএনপি থেকে তিনি পদত্যাগ করেননি। তাকে বহিস্কারের কোন চিঠিও পাননি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি জানান, অনেক দিন থেকেই বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।

তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি বা তাকে বহিস্কারের কোন চিঠি পাননি। সম্প্রতি বিএনএম-এ যোগদান করেছেন।

জেলা বিএনপির বক্তব্য –

জেলা বিএনপির সভাপতি হাসনুজ্জামিল শাহীন জানান, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।