ঠিকাদারের গাফিলতি; ভোগান্তিতে এলাকাবাসী; কর্তৃপক্ষ উদাসীন

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ বলেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল কাঞ্চনপুর ঢংপাড়া ভায়া পাথরঘাটা রাস্তাটির ১৫’শ মিটার ডাবি্লউ বিএম ও দুই কিলোমিটার সাব বেইস করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৫ শতাংশ মাটির কাজও শেষ করা হয়েছে। গত বন্যা ও মালামাল পরিবহনে অসুবিধা হওয়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিলো। নোটিশের মাধ্যমে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে তিনি জানান।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির সড়কটির কিছু অংশে ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা ইটগুলো পড়ে রয়েছে। রাস্তার কিছু অংশে কাজই শুরু করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের। পূর্বের চেয়েও অধিক কষ্টে তারা যাতায়াত করছে। মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহন চলাচলের সময় প্রচুর পরিমাণ ধুলাবালি শরীরে এসে পড়ে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়গামী কোমলমতী শিশুরা।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতিতে কাজ শেষ হচ্ছে না। এ অবস্থায় সড়কটি হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এই সড়কটিতে বাসাইল, সখীপুর ও মির্জাপুর উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটির দ্রুত নির্মান দেখতে চান এলাকাবাসী।

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ঢংপাড়া ভায়া পাথরঘাটা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় ছিলো। দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের সীমাহীন কষ্টের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সড়কটি সংস্কার ও নির্মানের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৩ টাকা ব্যায়ে ৬কি.মিটার রাস্তা সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। কাজটি পায় মেসার্স বিশাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ৩০ এপ্রিল ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ৬ মে ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও এখনও এর নির্মান কাজ শেষ হয়নি।

স্থানীয় সোরহাব হোসেন বলেন, দেড় বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু করলেও এখনও শেষ হয়নি। এ রাস্তায় যানবাহন তো চলেই না। দু-একটি চললেও ধুলা বালুতে মানুষের শরীর নষ্ট হয়ে যায়। ঠিকাদারের কোন খোঁজ খবর নেই। প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তিনি আজ পর্যন্ত রাস্তাটি দেখতেও আসেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, কবে শেষ হবে সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাস্তার কাজ শেষ হতে বিলম্ব হওয়ায় শুধু সাধারন মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে তা নয়, ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও মন্দা দেখা দিয়েছে। তাতে কারো মাথা ব্যথা নাই। তারা তো সব ভাবেই ব্যবসা করছে।

এ ব্যাপারে বিশাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. হোসেন বলেন, বন্যার কারণে বিগত কয়েক মাস রাস্তার কাজ করতে পারিনি। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে রাস্তার নির্মাণ করা হবে।