দেলদুয়ার-করটিয়া সড়ক পূণঃনির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার-করটিয়া আঞ্চলিক সড়কে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে নিম্নমান ও ধার্য্যকৃত পরিমাপের থেকে কম নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কের সিলকোট ওঠে যাচ্ছে। প্রায় তিন কোটি ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্যালাসাইটিং করার কথা থাকলেও একটিও করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ওই কাজে যথানিয়মে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করার সত্যতা পেয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা সদর থেকে করটিয়া পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় ওই এলাকার পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। গত বছরের শুরুর দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় তিন কোটি টাকা পূণঃনির্মাণ ব্যয় ধরে ওই সড়কের দরপত্র আহবান করে।

দরপত্র প্রক্রিয়ায় মেসার্স তাপস ট্রেডার্স নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক পূণঃনির্মাণ শুরু করলেও কাজের গুনগতমান নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলমান কাজের সিলকোট করা অংশ গাড়ির চাকায় ওঠে যাচ্ছে। সিডিউলে সড়কের পাশে পুকুর বা নিচু জায়গায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থানে ১৭টি প্যালাসাইডিং করার কথা; কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একটি প্যালাসাইডিংও করেনি। ফলে নির্মাণাধীন সড়কটি পূণঃনির্মাণে এলাকাবাসীর দাবি পুরণ হলেও কাঙ্খিত সুফল না পাওয়ার আশঙ্কতা দেখা দিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাপস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শরিফ আহাম্মেদ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সুবিধা দেয়া হয়নি বলে একটি স্বার্থন্বেষী মহল রাতের আঁধারে সড়কের সদ্য করা কার্পেটিং শাবল দিয়ে তুলে ফেলেছে। যথাযথ নিয়মে কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিডিউল অনুযায়ী কাজের গুনগতমান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।