মধুপুর-ধনবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা

মধুপুর প্রতিনিধি : মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা দিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী তথা উত্তর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।

পাকহানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির ব্যানারে মধুপুরের হোটেল আদিত্যের সামনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ধনবাড়ীতে পৃথক ২টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন, প্রেসক্লাব ও ধনবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যৌথভাবে এ দিন উপলক্ষে পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত হানাদার মুক্ত করেন।

১০ ডিসেম্বর এ অঞ্চলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়তে থাকে।

মধুপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদকে নাগরিক সংবর্ধনা এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা দেয়া হয়েছে।

মধুপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস উদ্যাপন কমিটির ব্যানারে হোটেল আদিত্যের সামনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল মধুপুরের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে বেসামরিক (নিহত সাধারণ ৫ ব্যক্তি) শহীদ পরিবারকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠানে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক সরকার শহিদুল ইসলাম সহিদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির তালুকদার।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ, ধনবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুল্লাহ ফকির, জয়নাল আবেদিন খান বাবলু, আবদুল লতিফ পান্না, আবদুল মান্নান প্রমুখ।

অপরদিকে ধনবাড়ী প্রেসক্লাব ও ধনবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যৌথভাবে এ দিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল।

ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের উদ্যেগে র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে এ দিবস পালিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন কালু, ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি স.ম জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী।

এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন. ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামছুল আরেফীন।