মাভাবিপ্রবিতে মাওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন-এর নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ, মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর ভাসানীর পরিবার ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম পুস্পস্তবক অপর্ন করেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্কস্তবক অর্পন করা হয়।

মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে ভাসানীর ভক্ত অনুরাগী ও সাধারন মানুষের ঢল নামে।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মোনাজাত করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কোন গনতন্ত্র নেই। মানুষের অধিকার নেই। বর্তমান সরকার বিনা ভোটে সরকার গঠন করে ক্ষমতা দলখ করে রেখেছে। মানুষ তার অধিাকারের জন্যে সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। দ্রব্যমুল্যে অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আজকে সেই জন্যে গনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নিরপপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শামসুজ্জামান দুদু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন ও গনস্বাস্থ্যের কাজী জাফরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সকাল ৮টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।