মির্জাপুরে করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকের বাড়িতে উপহার পাঠালেন ওসি

করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকের বাসায় উপহার সমাগ্রী পাঠিয়েছেন মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান। এ সময় তিনি ফোন করে অসুস্থ সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবরও নেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ বিভিন্ন প্রকার মৌসুমী ফলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ডালি সাজিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে পৌছে দেন।

গত ১১ মে থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব ও ঢাকা টাইমস প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর হোসেন।

এদিকে সরকারের উধ্বর্তন তিন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকের খোঁজ রেখে তার বাড়িতে উপহার সামগ্রী পাঠানোর খবরে তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মির্জাপুরের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।

মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস ও মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মনোবল ধরে রাখা এই মুহূর্তে এই রোগের অন্যতম চিকিৎসা। ইউএনও এবং ডিবির ওসি উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে এবং তার খোঁজ রেখে সেই কাজই করছেন। এজন্য ইউএনও-ওসিকে ধন্যবাদ জানান তারা। সাংবাদিক নিরঞ্জন পাল, সোহেল মোহসীন শিপন, ও এরশাদ মিঞা জানান, এতে সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, করোনা মহামারি যুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সাংবাদিকরা সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা তার পাশে রয়েছি এবং থাকবো। একই কথা বলেন টাঙ্গাইল ডিবি (দক্ষিণ) ওসি শ্যামল কুমার দত্ত ও মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান। খুব শিগগির জাহাঙ্গীর সুস্থ হয়ে আবার করোনা যুদ্ধে শরীক হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে এবং প্রতিনিয়ত খোঁজ রেখে পাশে দাঁড়ানোয় ইউএনও আবদুল মালেক এবং ডিবি’র ওসি শ্যামল কুমার দত্ত ও মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত তার খোঁজ রেখে সাহস জোগানোয় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ, গত ১১ মে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরে ১৪ মে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে সাংবাদিকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের দুইকর্মীসহ চারজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।