করোনা সংক্রমণ রোধে ঘাটাইলে পাইলট হাইস্কুল মাঠে বাজার স্থানান্তর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভার মাছ ও কাঁচা সবজি বাজার অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ও সবজির বাজার ঘাটাইল সরকারি গণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বসবে।

গতকাল সোমবার ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদ বাজার স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘাটাইল ডট কমকে নিশ্চিত করেন। পৌর মেয়র বলেন, মঙ্গলবার থেকে ঘাটাইল পৌরসভার কাঁচাবাজার ঘাটাইল হাইস্কুল খেলার মাঠে (উত্তর পাড়া) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সেখানেই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাজার বসবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপদকালীন সময়ের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি বর্তমানের মহাদূর্যোগ ও দূর্ভোগ মোকাবেলায় সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘাটাইল বাজার রোডস্থ পৌরসভার বাজারে কোনোপ্রকার মাছ ও কাঁচা সবজীর দোকানপাট বসাতে পারবেন না। ঘাটাইল হাই স্কুল মাঠে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বেচাকেনা করবেন। এর ব্যতিক্রম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঘাটাইলের উত্তরপাড়া এলাকায় হাইস্কুল খেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জনসাধারণ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা করছেন। বেচাকেনার নতুন স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান বসানো হয়েছে। ক্রেতারাও নিয়ম মেনে কেনাকাটা করছেন।

ঘাটাইলে সকল ধরণের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও তরকারি, মাছ ও মাংসের বাজারে সকালের দিকে কেনাকাটায় ভিড় লেগে যায়। এর ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বাজার স্থানান্তরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্তে জনগণ এক ধরণের স্বস্তিবোধ করছেন বলে বাজার করতে আসা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়।

বাজার করতে আসা আকবর হোসেন জানান, নতুন করে স্থাপন করা বাজারে এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করা যাচ্ছে। এতে করোনা ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। এই ব্যবস্থাটা প্রথম থেকে করলে ভালো হতো।

আরেকজন শাহিদা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই। বাজারগুলোতে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। নানা ব্যবস্থা নেয়ার পরেও এখানে কোনোভাবে লোক সমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না। তাছাড়া বাজারের স্থানটা ঘিঞ্জি হওয়ায় লোকসমাগম ঠেকাতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই বাজার স্থান্তরের এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।