মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিড়ে ফেলায় চিকিৎসকের বিচার চাইলেন বঙ্গবীর

টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকে বরখাস্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

টাঙ্গাইলের রসুলপুর মহেড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান ভূইয়া তার মাজা ও পায়ের জয়েন্টের হাড় ফেটে যাওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর চিকিৎসা নিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

গত ২১ নভেম্বর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার ভিজিট করতে এসে রোগীর ফাইল দেখেন। এ সময় ফাইলে রাখা মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখে বলেন ‘‘এই সনদ কি রোগীর চিকিৎসা করবে, না ডাক্তার করবে’’ এ কথা বলে সনদটি ছিড়ে ফেলে দেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে অভিযুক্ত চিকিৎসককে না পেয়ে হাসপাতাল তত্বাবধায়কের সাথে কথা বলেন। সেখানে থেকে ফিরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

পরে সাংবাদিকদের কাছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ সময় কাদের সিদ্দিকী অবিলম্বে চিকিৎসকের বরখাস্ত, গ্রেফতার ও তার সনদ বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানান।

তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ নারায়ন চন্দ্র। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা দাবি করে বলেন, যা পারেন করেন।