ঈদের যানজটে বাড়তি আয়

ঈদের যানজটে বাড়তি আয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দুই ঈদের ছুটিতেই যানজট হয়।

এই যানজট এই মহাসড়কের দুই পাশের পাঁচশতাধিক মানুষের ঈদের আগে বাড়তি আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এবারও যানজটে অনেক মানুষ দুর্ভোগ পোহালেও খুশি ওইসব বাড়তি আয় করা মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে দুই ঈদেও ছুটি শুরু হলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট লেগে যায়।

আরো পড়ুন – গোপনে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মা-শিশু’র মৃত্যু, প্রেমিক পলাতক

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরমুখো মানুষদের এই জটে আটকে পড়ে থাকতে হয়।

মহাসড়কের পাশে দোকানপাট না থাকায় আশেপাশের মানুষ ঈদের আগে অস্থায়ী দোকান তৈরি করেন।

এসব দোকানে কেউ বোতলের পানি, এনার্জি ড্রিংকস; কেউ খিচুরি তেহারি; কেউ ফলমূল আবার কেউ শুকনো খাবার বিক্রি করেন।

এবছর ঈদের ছুটি শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। সোমবার রাত থেকেই মহাসড়কের দুপাশে অস্থায়ী দোকান বসে যায়।

কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবার যানজট না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন ওই সব অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা।

তবে বুধবার ভোর থেকে যানজট শুরু হওয়ায় বিক্রি বাড়তে থাকে তাদের। এতে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠে তাদের চোখে মুখে।

ব্যবসায়ীদের কথা –

বুধবার সকালে মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিক্রমহাটী এলাকায় দেখা যায়, খিচুরির প্যাকেট বিক্রি করছেন ভাবন সরকার নামক এক ব্যক্তি।

আরো পড়ুন – গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জামিন আবেদন চতুর্থ বারের মতো নামঞ্জুর

তিনি জানান, ব্রয়লার মুরগীর মাংস দিয়ে তৈরি করা খিচুরী ৫০ টাকা প্যাকেট বিক্রি করছেন।

ঈদের যানজটে বাড়তি আয়

অন্যান্য বার ৩৫-৪০ হাজার টাকা ঈদ মৌসুমের যানজটে বিক্রি করেন।

কিন্তু এবার যানজট আগের দুইদিন না হওয়ায় তেমন বিক্রি হয়নি।

বুধবার সকালে যানজট লাগার পর পাঁচ ঘণ্টায় ৪ হাজার টাকার খিচুরী বিক্রি করেছেন।

তাদের এলাকার শ্যামল সরকার, সত্য সরকার সহ আরো অনেকেই খিচুরী বিক্রি করেন।

রসুলপুর এলাকায় ভ্যানের মধ্যে অস্থায়ী দোকান দিয়ে লিটন সরকার নামক এক ব্যক্তি পানি ও জুস করছিলেন।

তিনি জানান প্রতি ঈদের আগে তিনি এরকম অস্থায়ী দোকান করেন।

লিটন সরকার বলেন, “জাম হইছিলো, কিন্তু তেমন গরম পরে নাই, তাই বিক্রি কম। যানজট বেশি সময় থাকলে আমাগো বিক্রিও বেশি হয়।”

গালা ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে অস্থায়ী দোকান করেছেন কলেজ ছাত্র রিয়াজ হাসান।

তিনি জানান, ৫০ হাজার টাকার পানি এবং শুকনা বিভিন্ন খাবার দোকানে তুলেছেন। প্রতি ঈদেও আগে এমন দোকান কওে তার ভালো আয় হয়।

স্থানীয়রা জানায়, এই মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের ৬৫ কিলোমিটাওে এমন অন্তত পাঁচ শতাধিক অস্থায়ী দোকান বসে।

উপকারভোগীদের কথা –

এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটে আটকে থাকা নীলফামারীগামী পিকআপ ভ্যানের যাত্রী শহীদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের পাশে এমন অস্থায়ী দোকান বসায় যানজটে আটকে থাকা যাত্রীরা সহজেই খাবার ও পানি পেয়ে থাকেন।

হোটেল রেঁস্তোরা থেকে এসব অস্থায়ী দোকানের খাবারের দাম অনেক কম। তথ্য ও ছবি – প্রথম আলো। সম্পাদনা – অলক কুমার