কালিহাতীতে নতুন করে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত! মোট ৩৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নতুন করে আরো দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের ঘড়িয়া গ্রামের পূর্বের আক্রান্ত বন্যা আলমের ঝা মায়া (২২) এবং গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের কুর্শাবেনু গ্রামের জামাল (৪৮)। এ নিয়ে এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫ জনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান।

আক্রান্ত মায়ার স্বামীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, তাদের বাড়িতে সর্বপ্রথম তার বড় ভাবী (বন্যা আলম) আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর আরো ৩ জন আক্রান্ত হয়। পরে সচেতন ও সন্দেহ মিটানোর জন্য তার পরিবারের আরো ৪ সদস্য গত ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ তাদের নমুনাগুলো গত ১০ জুন ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। তাদের মধ্য থেকে ১৬ জুন রাতে তার স্ত্রীর ফলাফল পজেটিভ আসে।

এসময় তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা বর্তমানে তাদের গ্রামে একটি অবহেলিত পরিবার হিসেবে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে, সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের বাঁকা চোখে দেখছে। গ্রামের কেউ তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি নাপা ট্যাবলেট পর্যন্ত তারা পাচ্ছে না। এদিকে লকডাউনের কারনে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় ঔষধসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বাজারে/ বাহিরে গিয়ে কিনতে পারছেন না এবং এই সময়ে কেনার মতো কাউকে তারা পাচ্ছেও না। তিনি আরো জানান, বর্তমানে তার পরিবারের আক্রান্ত সকলেই সুস্থ রয়েছেন।

আক্রান্ত অপরজন জামালের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে তার দুই-তিনদিন জ্বর ছিল। ঔষধ খাওয়ার পর জ্বর ভালো হলে সন্দেহ মিটানোর জন্য গত ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ গত ১০ জুন নমুনাটি ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। পরে ১৬ জুন রাতে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি নাপা ট্যাবলেট পাচ্ছে না আক্রান্ত মায়ার স্বামীর এমন অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঔষধ দেওয়ার বিধান নেই। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ফোন নম্বর দেয়া আছে সেখানে ফোন করে স্বাস্থ্য বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন এবং সে যদি নিতান্তই গরীব থেকে থাকে তাহলে আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করতে পারি।