নাগরপুরে করোনা আক্রান্ত যুবক পুরান ঢাকার ফল ব্যবসায়ী

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পুরান ঢাকা থেকে জ্বর ঠান্ডার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আসা এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ধরা পড়েছে। এর আগে নমুনা পরীক্ষা করলে তার দেহে করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত যুবককে তার বাড়িতে আলাদা করে এক ঘরে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। পরে সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান। এ সময় ওই বাড়িসহ আশ-পাশের ৩০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা তার সাথে আসা পার্শ্ববর্তী পানান গ্রামের দুই যুবকের বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ির আশপাশের মানুষ যাদের সাথে ওই যুবক মেলামেশা করেছে বাছাই করে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শীর্ষ ওই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত (২২) যুবক নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে ঢাকার কোতোয়ালী থানার বাদামতলীতে ফলের ব্যবসা করতো। জ্বর ঠান্ডার উপসর্গ নিয়ে ৮ এপ্রিল সে বাড়ি আসে। তার সাথে পার্শ্ববর্তী পানান গ্রামের দুই যুবকও বাড়িতে আসে। এরপর সে তার বাড়ির লোকের মাধ্যমে স্থানীয় ফার্মাসিস্টের কাছে ওষুধ আনতে গেলে সেই ফার্মাসিস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসে পাঠায়। রোববার (১২ এপ্রিল) নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে।

রোববার রাতে ওই যুবকের করোনা পজিটিভের রিপোর্ট আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম নাগরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়ির চারপাশে পাহারার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ওই বাড়িসহ আশ-পাশের ৩০ বাড়ি লকডাউন করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, ওই বাড়িসহ আশ-পাশের বাড়ি পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত পুলিশের নজরদারিতে থাকবে। তাছাড়া এলাকার মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।