রাস্তায় নেমেছে টাঙ্গাইলের সমবায় ব্যবসায়ীরা

সমবায় মার্কেট ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৮০ সালে ১৫৫ জন দোকান মালিক জামানতের টাকায় সমবায় মার্কেট তৈরি করি।

৪১ বছর তারা ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। ভবনের বয়স প্রায় ৪৫ বছর।

নির্মাণ শৈলী ও মান সম্পন্ন নির্মাণ কাজ করায় অল্প সময়ে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ বা পরিত্যাক্ত হয়নি।

এরপর ২০১৩ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মার্কেটের সভাপতি হন কুদরত-ই-এলাহী খান।

যে প্রভাবে তিনি সভাপতি হন, সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি ওই বছরই মার্কেটটি ভেঙে নতুন করে মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নেন।

আরো পড়ুন – করটিয়া হাটের ভিটি বরাদ্দে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক

এসময় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী রাজী না থাকলেও জোর করেই মার্কেটটি ভেঙে ফেলেন তিনি। এতে ১৫৫টি পরিবার ও তথা ৩০০ জন বিক্রয় কর্মী বেকার হয়ে পড়েন।

এরপর ১০ বছর পেড়িয়ে গেলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে ১৯ জন ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেছেন।

অনেক দোকান মালিক অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করে পরিবার চালাচ্ছেন।

অনেক মালিক ব্যাংক ঋণ, এনজিও ঋণ, মহাজনি ঋণ দিতে না পেরে ভিটাবাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের সমবায় সুপার মার্কেটের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খানের দুর্নীতি এবং নিজেদের দোকান ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছেন অসহায় ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

আরো পড়ুন – বাসাইলে রিসোর্ট ও স্পা সেন্টারের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা

আর সেই মানববন্ধনে এই সব কথা বলেন অসহায় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের কাছে সমাধান চেয়েছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মার্কেটের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক খান, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, নার্গিস আকতার, গোলাম মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

ব্যবসায়ীরা আরও বক্তারা বলেন, কুদরত-ই-এলাহী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি হয়েছেন।

অধিক লাভের আশায় তিনি মার্কেটের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন করে সাবেক ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে নতুনদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। তারপরও স্বঘোষিত কুদরত-ই- এলাহী খান নানা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।

কুদরত-ই-এলাহীর কথা –

আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার

মার্কেটের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী মুঠোফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সম্পাদনা – অলক কুমার